বাংলাদেশের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে একটি মানবিক আবেদন জানিয়েছে। এই আবেদনটি দেশের এক ভীতিকর পরিস্থিতি তুলে ধরছে, যা ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্টে বাংলাদেশে ঘটেছিল। বাংলাদেশের নাগরিকরা বলছেন, তাদের দেশের ইতিহাসে এই সহিংসতা ছিল একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফল, যা বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় সংঘটিত হয়েছে।
এফ এম শাহীন
বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে চিঠিটি লিখেছেন সাংবাদিক এফ এম শাহীন, এটি ছিল একটি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন, যা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার শব্দের আড়ালে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত ছিল। চিঠির মাধ্যমে তারা উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, মেট্রো রেল এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ধ্বংস, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থক ব্যবসায়ী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর আক্রমণ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে পুলিশকে পুড়িয়ে মারা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, এবং দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি, আউয়ামী লীগ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি দলের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া, একে “গণতান্ত্রিক আন্দোলন” দাবি করা হলেও, এই সহিংসতার পেছনে মূলত মুহাম্মদ ইউনুস নামক ব্যক্তির ভূমিকা দাবি করা হয়েছে, যাকে পশ্চিমা বিশ্ব শান্তির বার্তা বাহক হিসেবে পরিচিত করলেও বাংলাদেশে তাকে ‘দেশবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেখেছে, “যদি এ ধরনের ঘটনা আপনার দেশে ঘটত, আপনি কি এটিকে গণতন্ত্র বা মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতেন?”
অভিযোগ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতির প্রতি অবহেলা করেছেন এবং নীরব থেকেছেন। তাই বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন— “এবার আপনাদের শিরদাঁড়া সোজা করে বলতে হবে: আমাদের নাম নিয়ে কোনো অপরাধ করো না। আমাদের পাশে দাঁড়ান।”
এতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছিল, আজ সেটি আবারও হুমকির সম্মুখীন। যদি আপনি সত্যিকারের মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন, তবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন।”
এছাড়া, চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা কোনো সহানুভূতির আবেদন করছি না। আমরা শুধু সত্যের স্বীকৃতি এবং মানবিকতা ও স্বাধীনতার প্রতি আপনার একতার প্রমাণ চাচ্ছি।”
সাংবাদিক এফ এম শাহীন চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে পরিচিত। গৌরব৭১ নামের একটি সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।