ঢাকা, শনিবার: দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান। আজ শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একযোগে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ইসহাক দার এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডলে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময়ই এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা প্রশ্নে আমরা কখনো আপস করিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থামলে আমরাও থামব। ধ্বংস ও সম্পদের অপচয় কেউ চায় না।’
এর আগে আজ সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স হ্যান্ডলে এক বার্তায় জানান, ‘ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে দুই দেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছেছে, এজন্য তাদের অভিনন্দন।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়,
“ভারত সবসময় বিশ্বাস করে শান্তি ও স্থিতিশীলতাই এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি। আমরা পাকিস্তানের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আগ্রহী, তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট ও অটল। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা চাই অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও জনগণের কল্যাণ। এই যুদ্ধবিরতি সিদ্ধান্ত পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও দায়িত্বশীলতার ফল।”
ভারতের এই বক্তব্যে তাদের পরিণত, ধৈর্যশীল এবং কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া গেছে, যা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে।
এর আগে আজ ভোরে পাকিস্তান ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামে একটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ভারতের কিছু সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানের দাবি, মঙ্গলবার রাতে তাদের ভূখণ্ডে চালানো হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
তবে দুই দেশের মধ্যে তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আন্তর্জাতিক মহলের সক্রিয় ভূমিকার কারণে উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হতে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে শান্তির আহ্বান এবং পরিপক্ব কূটনীতির উদাহরণ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
আশা করা যাচ্ছে, দুই দেশ ভবিষ্যতে আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে অগ্রসর হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়ন ও কল্যাণে মনোনিবেশ করতে পারবে।