বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের নামে সরকার একটি ‘সার্কাস’ আয়োজন করছে। তার মতে, বিদেশি বিনিয়োগ আগের চেয়ে কমে যাওয়ার পরও সরকার শোডাউন করছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না।
তিনি ১৩ই মে, জাতীয় প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন। খসরু বলেন, দেশে বিনিয়োগের শর্ত এখনও অনুকূল নয়, এবং সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’-এর কার্যক্রমও ফলপ্রসূ হয়নি। তিনি বলেন, “বলেনি যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবে, চাকরির বন্যা হবে। কিন্তু বাস্তবে বড় কোনো বিনিয়োগের ঘোষণা আসেনি।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ২৯ শতাংশ। খসরু দাবি করেন, বিদেশি বিনিয়োগ আসতে হলে দেশের গণতান্ত্রিক শাসন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন, যা বর্তমান সরকারের শাসনকালে অনুপস্থিত।
এছাড়া, “মানবিক করিডোর” বিষয়েও খসরু প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এটা কার এজেন্ডা? একটি অনির্বাচিত সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, অথচ জনগণ বা রাজনৈতিক দল কেউ কিছু জানে না।”
তবে খসরু তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, সরকারের সংস্কারের পরিকল্পনাকে একটি “নির্বাচনহীন চক্রান্ত” হিসেবে বিবেচনা করেন এবং দাবি করেন, জনগণকে বাইরে রেখে সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, এখন যারা সংস্কারের কথা বলছে, তারা কোথাও ছিল না আন্দোলনের সময়।”
নির্বাচন নিয়ে খসরু বলেন, দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে আনতে হলে সবার আগে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন, যা এখনও শুরু হয়নি।
এদিকে, স্মরণসভায় উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা, যেমন সাইফুল ইসলাম, হাসনাত কাইয়ূম এবং মাহমুদুর রহমান মান্না, সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।