ওয়াশিংটন, মঙ্গলবার — প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি জানান, হুতিরা গুরুত্বপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যের শিপিং লেনগুলোতে হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর ওমান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও হুতিদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে তারা। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হুতিদের নীতিতে এটি একটি বড় পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।
ওমানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এবং হুতি কেউ কাউকে লক্ষ্যবস্তু করবে না, এমনকি লাল সাগর এবং বাব আল-মানদাব প্রণালীতে থাকা মার্কিন জাহাজগুলোকেও না। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুতিরা হামলা বন্ধ করবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
ওভাল অফিসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “তারা বলেছে, ‘দয়া করে আমাদের আর বোমা মারো না, আর আমরা তোমাদের জাহাজে হামলা করব না।’ আমি তাদের কথায় আস্থা রেখেছি এবং হুতিদের ওপর বোমাবর্ষণ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করছি।”
লাল সাগরের জাহাজ চলাচলে হুতিদের হামলা বন্ধে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে ইরানপন্থী হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করেছিল। তবে এতে বেসামরিক প্রাণহানির আশঙ্কা তুলে ধরেছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
হুতি পক্ষ থেকে রয়টার্সের অনুরোধের পরও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে হামাসের ইসরায়েল হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে হুতিরা ইসরায়েলের দিকে এবং লাল সাগরের জাহাজের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
ট্রাম্প বলেন, “তারা বলেছে আর জাহাজ উড়িয়ে দেবে না, আমরা তাদের কথায় বিশ্বাস করছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ১৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অপারেশন “রাফ রাইডার”-এ তারা ইয়েমেনে ১,০০০-রও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এতে “শত শত হুতি যোদ্ধা ও বহু হুতি নেতার” মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
গাজা যুদ্ধের পর থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে, তবে আরও বেড়েছে যখন এক হুতি ক্ষেপণাস্ত্র রোববার ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে আঘাত হানে। এর পরদিন ইসরায়েল ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে বিমান হামলা চালায়।